করোনা ও এমপক্সের পরে এবার শিরোনামে এসেছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। বাংলাদেশে সম্প্রতি এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আইইডিসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, এইচএমপিভি ভাইরাসটি শ্বাসতন্ত্রবাহিত রোগ সৃষ্টি করে এবং এর লক্ষণগুলো ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো।
এইচএমপিভি কী এবং এটি কীভাবে ছড়ায়?
২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে প্রথম আবিষ্কৃত এই ভাইরাসটি বাংলাদেশেও বিদ্যমান। এটি সাধারণত হাঁচি-কাশি বা সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহার করা জিনিসপত্র স্পর্শ করার মাধ্যমে ছড়ায়। নাক, মুখ বা চোখে হাত দিলে ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
প্রধান লক্ষণগুলো:
- জ্বর
- হাঁচি-কাশি
- গলা ব্যথা
- ক্লান্তি
এইচএমপিভি কতটা মারাত্মক?
শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এই ভাইরাসটি অন্যান্য রোগে আক্রান্ত বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের জন্য গুরুতর হতে পারে। যদিও এইচএমপিভি এখনো করোনার মতো মহামারি রূপ নেয়নি, তবে এটি সময়ের সঙ্গে মিউটেশন ঘটাতে পারে।
এইচএমপিভি প্রতিরোধে করণীয়
- নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া
- হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা
- সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা
- মাস্ক ব্যবহার করা
- জ্বর বা অন্য উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া
চিকিৎসা পদ্ধতি
এইচএমপিভির জন্য সরাসরি কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। তবে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে রোগী সেরে ওঠে। গুরুতর অবস্থায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শেষ কথা
এইচএমপিভি আপাতত গুরুতর মহামারির রূপ নেয়নি। তবে সচেতন না থাকলে এটি ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। নিজে সচেতন থাকুন, অন্যদের সচেতন করুন।
আপনার মতামত জানান: এইচএমপিভি সম্পর্কে আপনি কী জানেন? কমেন্টে লিখে জানান!