২০২৫ সালের শুরুতেই স্বর্ণের দাম নিয়ে এসেছে বড় চমক। বাজুসের ঘোষণায় ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। বিস্তারিত জানুন স্বর্ণ ও রুপার দামের সর্বশেষ আপডেট।
নতুন বছরের ১৫ দিন না যেতেই স্বর্ণের দামে বড় চমক
নতুন বছরের মাত্র ১৫ দিন পার হতে না হতেই দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে বড় চমকের ঘোষণা দিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪৫ টাকা। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্বর্ণ ও রুপার দামের সর্বশেষ আপডেট।
স্বর্ণের দামে নতুন সমন্বয়
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের নতুন দামের ঘোষণা দেওয়া হয়।
নতুন দামের তালিকা অনুযায়ী:
- ২২ ক্যারেট স্বর্ণ: প্রতি ভরি ১,৩৯,৯৪৫ টাকা
- ২১ ক্যারেট স্বর্ণ: প্রতি ভরি ১,৩৩,৯৮০ টাকা
- ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ: প্রতি ভরি ১,১৪,৮৬০ টাকা
- সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ: প্রতি ভরি ৯৩,৬৭৪ টাকা
স্বর্ণের এই দামের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫% ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬% মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির পরিমাণ পরিবর্তন হতে পারে।
আগের দাম বনাম নতুন দাম
২০২৪ সালের শেষ দিকে, ২৯ ডিসেম্বর, বাজুস স্বর্ণের দাম কমিয়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল। তবে জানুয়ারি ২০২৫ সালে দাম বেড়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় ১৫ দিনের মধ্যেই বড় মূল্য বৃদ্ধি চোখে পড়ছে।
রুপার দামের অবস্থা
স্বর্ণের দাম বাড়লেও দেশের বাজারে রুপার দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
- ২২ ক্যারেট রুপা: প্রতি ভরি ২,৫৭৮ টাকা
- ২১ ক্যারেট রুপা: প্রতি ভরি ২,৪৪৯ টাকা
- ১৮ ক্যারেট রুপা: প্রতি ভরি ২,১১১ টাকা
- সনাতন পদ্ধতির রুপা: প্রতি ভরি ১,৫৮৬ টাকা
রুপার স্থিতিশীল মূল্য বাজারে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
স্বর্ণের দামে পরিবর্তনের কারণ
বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে।
অতীতের দামের পর্যালোচনা
২০২৪ সালে স্বর্ণের দাম মোট ৬২ বার সমন্বয় করা হয়েছিল। এর মধ্যে:
- ৩৫ বার দাম বেড়েছে।
- ২৭ বার দাম কমেছে।
কেন স্বর্ণের দামে এতো ওঠানামা?
স্বর্ণের দামের ওঠানামার প্রধান কারণগুলো হলো:
- আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যবৃদ্ধি বা হ্রাস।
- ডলার বিনিময় হার।
- স্থানীয় বাজারে চাহিদা ও সরবরাহ।
- রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা।
উপসংহার
নতুন বছরে স্বর্ণের দামের এই বড় পরিবর্তন দেশের ক্রেতাদের জন্য একটি বড় আলোচনার বিষয়। যারা স্বর্ণ কিনতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য এই দাম একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবে যারা বিনিয়োগের জন্য স্বর্ণ কিনতে চান, তাদের জন্য এই পরিবর্তনকে কৌশলগতভাবে বিবেচনা করা উচিত।
আপনার মতামত দিন:
স্বর্ণের দামের এই চমক আপনাকে কীভাবে প্রভাবিত করবে? আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না!