প্লিজ, এসব আর করবেন না : শবনম ফারিয়ার খোলা চিঠি. | শবনম ফারিয়া তার ফেসবুক পোস্টে মানবতা ও পেশার প্রতি শ্রদ্ধার বার্তা দিয়েছেন। সমাজে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা ও সমালোচনার বিরুদ্ধে তার খোলা চিঠি।
প্লিজ, এসব আর করবেন না: শবনম ফারিয়ার খোলা বার্তা
বাংলাদেশের নাট্যজগতের পরিচিত মুখ শবনম ফারিয়া। অভিনয়ে আগের মতো নিয়মিত না থাকলেও তার সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি সব সময় সরব। মঙ্গলবার বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোচিত।
ফারিয়ার বক্তব্য:
ফারিয়া তার স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, সমাজের প্রতিটি পেশায় নিয়োজিত মানুষ একই রকম কষ্ট ও আবেগ অনুভব করেন। তিনি বলেন,
“যিনি ব্যাংকে কাজ করেন, শিক্ষকতা করেন, চিকিৎসক বা কর্পোরেট জগতে কাজ করেন, তাদের যেমন ব্যথা হয়, যারা পর্দার সামনে কাজ করেন তারাও একই রকম ব্যথা অনুভব করেন।”
সমালোচনার শিকার হওয়া শিল্পীদের মানবিক দিক
শিল্পীদের ব্যক্তিগত জীবন প্রায়ই সমাজের রসালো আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। শবনম ফারিয়া উল্লেখ করেছেন, একজন মানুষ সংসার শুরু করেন অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে। কিন্তু যখন সম্পর্ক টেকে না, তখন এর যন্ত্রণাও সীমাহীন।
ফারিয়া বলেন,
“পর্দার সামনে বা পেছনে কাজ করা মানুষদেরও ব্যক্তিগত জীবন আছে। সেই জীবনে অনেক ওঠানামা থাকে। একটা সম্পর্ক ভাঙা কতটা যন্ত্রণাদায়ক, সেটা যারা ভুক্তভোগী নন, তারা বুঝতে পারবেন না।”
সমাজের প্রতি তার বার্তা
শবনম ফারিয়া তার পোস্টে সমাজের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, মানুষের ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশা নিয়ে অহেতুক সমালোচনা না করতে। তিনি বলেন,
“সৃষ্টিকর্তা সবাইকে একইভাবে বানিয়েছেন। তিনি কোনো পেশার প্রতি আলাদা নিয়ম করেননি। মৃত্যুর পর সবার পরিণতিই এক। তাই দয়া করে অহেতুক সমালোচনা থেকে বিরত থাকুন।”
সৃজনশীল পেশা এবং সামাজিক দায়িত্ব
শিল্পীরা তাদের কাজের মাধ্যমে মানুষের বিনোদন এবং ভাবনার খোরাক দেন। তাদেরও সামাজিক সম্মান ও শ্রদ্ধা পাওয়ার অধিকার আছে। ফারিয়া তার স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই বার্তাই দিয়েছেন যে, পেশা এবং ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদা করে দেখা উচিত।
উপসংহার: মানবিকতা এবং শ্রদ্ধার আহ্বান
শবনম ফারিয়ার বার্তা শুধু শিল্পীদের জন্য নয়, বরং আমাদের সমাজের জন্য একটি শিক্ষা। একজন মানুষের পেশা, ব্যক্তিগত জীবন, এবং তার সম্মানকে সম্মান জানানো প্রত্যেকের দায়িত্ব।
শেয়ার করুন:
এই বার্তাটি ছড়িয়ে দিন, যাতে মানুষ মানবিক এবং সহমর্মী হতে শিখতে পারে।
সমালোচনা নয়, সহমর্মিতা ছড়াই।